ঈদের ছুটিতে মাধবকুন্ডে পর্যটকদের ঢল
প্রকাশিত হয়েছে : ১:৩২:৩১,অপরাহ্ন ০৮ জুন ২০১৯
শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পরিবার পরিজন, বন্ধু বান্ধব নিয়ে নানা বয়সের এবং নানা শ্রেণী পেশার মানুষ বাস, মাইক্রোবাসসহ বিভিন্ন ধরনের ছোট বড় যানবাহন যোগে মাধবকুন্ড জলপ্রপাতে বেড়াতে আসছেন।পর্যটকদের আগমনে হাসি ফুটে উঠেছে মাধবকুন্ডের হোটেল-মোটেলসহ ছোট-বড় সব ধরনের ব্যবসায়ী মহলে।মেইনরোডে ছোট বড় গাড়ীর বহর দেখা গেছে। মৌলভীবাজার জেলা পরিষদ কর্তৃক নির্মিত যানবাহন রাখার টার্মিনালে স্থান সংকুলান না হওয়ায় রাস্তার উপর যানবাহন রাখায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। হাজারও পর্যটককে অনেক দুরে গাড়ী রেখে পায়ে হেটে যেতে হয় জলপ্রপাতের ঝর্ণা ধারার কাছে।এতে অনেকসময় যানজট লাগছে। স্থানীয় দোকানগুলোতে জমজমাট বিকিকিনি হচ্ছে।
সিলেট থেকে পরিবারের সাথে মাধবকুন্ডে বেড়াতে আসা শাহজালাল বিজ্ঞান ও পযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আহমেদ কাইছার জানান,প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি মাধবকুন্ড জলপ্রপাত, ইকোপার্ক, চা বাগান এগুলোর আকর্ষনেই এখানে আসা। মাধবকুন্ডের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যেকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য আমাদেরকে আরো দায়িত্বশীল হতে হবে বলে জানান তিনি।
মাধবকুন্ডে বেড়াতে আসা সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ছাত্র বড়লেখার নাঈম আহমেদ জানান, ঈদের ছুটির সুযোগে সকল ধর্ম-বর্ণের পর্যটকের আগমনে আনন্দ পুরীতে পরিণত হয়ে উঠে মাধবকুন্ড জলপ্রপাত ও আশপাশের এলাকা।
মাধবকুন্ড পর্যটন পুলিশের সহকারি উপ-পরিদর্শক ভানু লাল রায় শুক্রবার বিকেলে বলেন,ঈদ আসলে মাধুবকুন্ডে পর্যটকের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে যায়।গতবারের তুলনায় এই ঈদে অনেক বেশি পর্যটকের আগমন হয়েছে।কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই পর্যটকেরা নির্বিঘ্নে ভ্রমন করেছেন।ঈদে অতিরিক্ত পর্যটকের চাপের কারণে পর্যাপ্ত লোকবলের পাশাপাশি সার্বিক নিরাপত্তার জন্য ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিটও আমাদের সাথে কাজ করছে।