বড়লেখায় যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে সিলিন্ডার গ্যাস:ঘটতে পারে ভয়াবহ দূর্ঘটনা
প্রকাশিত হয়েছে : ৫:৩৫:২৪,অপরাহ্ন ১১ মে ২০১৯
সুলতান মাহমুদ খান ::বড়লেখা উপজেলায় নীতিমালা উপেক্ষা করে যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে বিপদজনক সিলিন্ডার গ্যাস। উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার প্রায় সকল হাট বাজারে পান দোকান থেকে শুরু করে ইলেকট্রনিক্স এমনকি মুদি দোকান পর্যন্ত সবখানেই পাওয়া যাচ্ছে সিলিন্ডার ভর্তি গ্যাস। অনিরাপদ এসব সিলিন্ডার গ্যাস যত্রতত্র রাখার ফলে যে কোন সময় ঘটতে পারে ভয়াবহ দূর্ঘটনা। এসব দোকানে ফায়ার সার্ভিসের অগ্নিনির্বাপক গ্যাস সিলিন্ডার রাখার নিয়ম থাকলেও অধিকাংশ দোকানই তা মানছে না। অচিরেই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এসব বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
সরেজমিনে উপজেলার পৌরশহর ও ইউনিয়ন পর্যায়ের হাটবাজারে শতাধিক দোকানে সরকারি নীতিমালা উপেক্ষা করে অবাধে এলপি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি দেখা গেছে। বিস্ফোরক অধিদফ্তরের কোন লাইসেন্স ছাড়াই গ্যাস কেউ কেউ সিলিন্ডার ও গ্যাসের চুলার পাশাপাশি বিক্রি করছেন পেট্রোল ও ডিজেল।
এছাড়াও ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, মুদি দোকান, হার্ডওয়্যার, ফাস্টফুড, কসমেটিক, তেল বিক্রয়, ফ্লেক্সিলোডের দোকানসহ রাস্তার পাশে, ফুটপাতে গ্রামের রাস্তার মোড়ে, ফার্মেসিতে, থান কাপড় বিক্রির দোকানে অবাধে বিক্রি হচ্ছে গ্যাসের সিলিন্ডার। এলপি গ্যাস সিলিন্ডারগুলো দোকানের সামনে বা ভেতরে খোলামেলা অবস্থায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রাখার ফলে যে কোনো সময় ঘটতে পারে বিস্ফোরণ ও প্রাণহানির ঘটনা।।
কয়েকজন এলপি গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এলপি গ্যাস বিক্রয় নিয়মকানুন তারা জানেন না। কিভাবে বিস্ফোরক অধিদফতরের লাইসেন্স করতে হয় তাও জানেন না তারা। অধিক লাভের আশায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তারা গ্যাস সিলিন্ডার ও বিক্রি করছেন। কোনো কোনো দোকানে গ্যাস সিলিন্ডার থাকলেও তার বেশির ভাগই মেয়াদ উত্তীর্ণ।
জানা যায়, বিস্ফোরক আইন ১৮৮৪-এর অধীনে গ্যাস সিলিন্ডার বিধিমালা-২০০৪’র ৬৯ ধারা অনুযায়ী লাইসেন্স ছাড়া অনধিক ১০টি গ্যাসপূর্ণ সিলিন্ডার মজুত করা যাবে। তবে বিধির ৭০ ধারা অনুযায়ী এসব সিলিন্ডার মজুত করার ক্ষেত্রে যথেষ্ট পরিমাণে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রপাতি এবং আগুন নিয়ন্ত্রক সরঞ্জাম মজুত রাখতে হবে।
সিলিন্ডার গ্যাস স্থাপনায় আগুন লাগতে পারে এমন কোনো বস্তু বা সরঞ্জাম রাখা যাবে না। এসব আইনের তোয়াক্কা না করে চা দোকান থেকে আরম্ভ করে ভেরাইটিজ স্টোরেও বিক্রি হচ্ছে এ গ্যাস সিলিন্ডার। ব্যাপক চাহিদা থাকার কারণে অসাধু ব্যবসায়ীরা নিজেদের মনগড়াভাবে যেখানে-সেখানে ফেলে ব্যবসা করছে। ঝাঁকিপূর্ণ এ জ্বালানি যথাযথ নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেই এসব দোকানের।