কুলাউড়ায় সদপাশা-মুরইছড়া সড়কের বেহাল দশা, জনদূর্ভোগ চরমে
প্রকাশিত হয়েছে : ৭:২০:৩৪,অপরাহ্ন ১১ আগস্ট ২০২৪
কুলাউড়া প্রতিনিধি :: দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে কুলাউড়া উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলের পৃথিমপাশা ও কর্মধা ইউনিয়নের যোগাযোগের অন্যতম প্রধান সড়কটি এখন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। সাত কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে ওই সড়কের প্রায় দুই শতাধিক স্থানে সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় গর্তের। এছাড়া সড়কের প্রায় ১৫-২০টি স্থানে সৃষ্টি হয়েছে ৩০-৫০ ফুট গভীর গর্তের। এতে জনদুর্ভোগে পড়েছেন দুই ইউনিয়নের কয়েক হাজার পথচারী ও যানবাহনের চালকরা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সড়কগুলো মেরামতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ উদাসীন। পৃথিমপাশা ইউনিয়নের সদপাশা থেকে কর্মধা ইউনিয়নের মুরইছড়া পর্যন্ত সাত কিলোমিটার সড়কটি ২০১৭-২০১৮ সালে সর্বশেষ সংস্কার কাজ করা হয়। এরপর আর কোনো মেরামত কাজ করা হয়নি। সংস্কারের অভাবে এই জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কের কর্মধা ইউনিয়নের বুধপাশা গ্রামের মোড়ারবাজার এলাকায় তিনটি স্থানে প্রায় ৩০-৩৫ ফুট, একই গ্রামের দানুরমোড়া এলাকায় তিনটি স্থানে প্রায় ৫০ ফুট, পৃথিমপাশা ইউনিয়নের কানিকিয়ারি গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় প্রায় ২০-২৫ ফুট ভেঙ্গে গিয়ে দেড় থেকে দুই ফুট গভীর গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন জায়গার ইট ও পিচ উঠে গেছে। সরেজমিনে ওই সড়ক দেখতে গিয়ে জানা গেছে, এই সড়কটি দিয়েই পৃথিমপাশা ইউনিয়নের কানিকিয়ারি, রাজনগর, গণকিয়া, ধামুলী, শিকড়িয়া, লুতাবিল ও কর্মধা ইউনিয়নের বুধপাশা, দিগলকান্দি, ফটিগুলি, পূর্ব ফটিগুলি, টাট্টিউলী, দোয়ালগ্রাম, রাধানগর চা-বাগান, মুরইছড়া চা-বাগান, মুরইছড়া বস্তি, ১০-১২টি খাসিয়া পান পুঞ্জিসহ দুই ইউনিয়নের প্রায় ২০টি গ্রামের লোকজনকে উপজেলা সদরে যাতায়াত করতে হয়। এসব এলাকার শিক্ষার্থীরাও এ সড়ক ব্যবহার করে লংলা আধুনিক ডিগ্রি কলেজ, আলী আমজদ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, হায়দরগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়, গনকিয়া দাখিল মাদ্রাসা, রবিরবাজার দারুছুন্নাহ ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করে। এ সড়ক দিয়ে নিয়মিত চলাচলকারী সিএনজি চালক জসিম, আক্তার, ইউনুছ, নুর মিয়াসহ অনেকেই জানান, সড়কে দীর্ঘদিন ধরে কোনো মেরামত কাজ করা হয়নি। যার কারণে সামান্য বৃষ্টি দিলেই সড়কের বিভিন্ন স্থানে পানি জমে সড়কে ফাটল দেখা দিলে পিচ উঠে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে আমরা চালকরা যাত্রীদের অনেক ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়।
কর্মধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুহিবুল ইসলাম আজাদ ও পৃথিমপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিমিউর রহমান চৌধুরী বলেন, দীর্ঘদিন থেকে দুই ইউনিয়নের জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটি মেরামত না করার কারণে সড়কের বিভিন্ন স্থানে ভাঙন দিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে যান চলাচলসহ পথচারীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন। সড়কটির মেরামত কাজ করার জন্য উপজেলা পরিষদের মাসিক সভায় একাধিকবার আলোচনা করেছি। উপজেলা প্রকৌশলী আশ্বস্ত করেছেন, শিগগিরই সড়কটি মেরামত কাজ করার উদ্যোগ নেবেন।
এলজিইডি’র উপজেলা প্রকৌশলী তারেক বিন ইসলাম বলেন, ‘আরসিআইপি প্রজেক্টের আওতায় ওই সড়কসহ উপজেলার অন্য এলাকায় ২০ কিলোমিটার সড়কের মেরামত কাজের জন্য একটি প্রস্তাবনা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। প্রস্তাবনাটি অনুমোদন হলে টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষে সড়কের মেরামত কাজ শুরু করা হবে।’