জায়গা জটিলতায় অনিশ্চয়তায় মডেল মসজিদ
প্রকাশিত হয়েছে : ৪:৫৪:৩৮,অপরাহ্ন ১০ মে ২০২৩
জুড়ী (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি :: বর্তমান সরকার দেশের প্রতিটি জেলা,মহানগর, উপজেলায় একটি করে মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নিলে সারা দেশে এর কাজ চললে ও জায়গা সংক্রান্ত জটিলতায় আটকে আছে জুড়ী উপজেলার এই মসজিদের কাজের প্রক্রিয়া।অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে সরকারের এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ।
ধর্ম মন্ত্রনালয়ের তথ্য অনুযায়ী জানা যায়,বর্তমান সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী সারা দেশে ৫৬৪ টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
২০২৪ সালের মধ্যে সারা দেশের কাজ সমাপ্ত করার লক্ষ্যে ২০২১ সালের ১০ জুন প্রথম ধাপে ৫০ টি মডেল মসজিদের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
চলতি বছরের ১৬ মার্চ ৩য় ধাপে আরও ৫০ টি মডেল মসজিদের উদ্বোধন করা হয়।
গত মাসের ১৭ তারিখ ৪র্থ ধাপে আরও ৫০ টি মডেল মসজিদের উদ্বোধন
মাধ্যমে চার ধাপে ২০০ টি মডেল মসজিদের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী ।ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে নেওয়া প্রকল্পটি তদারকি করছে ইসলামক ফাউন্ডেশন। মসজিদ গুলো নির্মাণকারী হিসেবে কাজ করে গণপূর্ত অধিদপ্তর।
ধর্ম মন্ত্রনালয়ের তথ্য অনুযায়ী,উপজেলা সদরের মসজিদগুলো তিনতলা বিশিষ্ট হবে।এতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থা সহ অজু ও নামাজের জন্য পৃথক জায়গা থাকবে।থাকবে হজ্ব গমনে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের জন্য রেজিষ্ট্রেশন ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা,ইমাম প্রশিক্ষণকেন্দ্র,গবেষণা কেন্দ্র,ইসলামিক লাইব্রেরি, দাফনের আগের আনুষ্ঠানিকতা,কোরআন শিক্ষার ব্যবস্থা,হিফজখানা,দেশি বিদেশি অতিথিদের জন্য থাকার ব্যবস্থার পাশাপাশি থাকবে শৌচাগারের ব্যবস্থা। যেকোন মানুষ এই কেন্দ্র থেকে ইসলাম প্রচারের জন্য যেসকল কাজ দরকার সব করতে পারবেন।সাধারন মানুষের জন্য উপকারী সরকারের এই প্রকল্পটি আটকে গেছে। ২০২৪ সালে সারা দেশের কাজ সমাপ্ত হওয়ার কথা থাকলে ও এখন ও জুড়ীতে জায়গার জটিলতা কাটেনি।
জানা যায়, উপজেলার কয়েকটি সম্ভাব্য স্থানের নাম আসলে সব কটি নামের বিপরীতে আসে আপত্তি।এতে করে আটকে আছে মডেল মসজিদের কাজ।উপজেলা থেকে ৩ কিমি দূরে মানিক সিংহ বাজার সংলগ্ন মসজিদে পুনঃভাবে মডেল মসজিদ নির্মাণের দাবি উঠলে মসজিদের বর্তমান কমিটির আপত্তি বাধেঁ।এরপর উপজেলা সংলগ্ন পরিষদের সামনে মসজিদ নির্মাণের প্রস্তাব উঠলে সেখানে আপত্তি বাধায় একটি পক্ষ।তারা জুড়ী -ফুলতলা রোডের ভবানীপুর নামক স্থানে মসজিদ নির্মাণের দাবি তোলে।উপজেলা সংলগ্ন ও ভবানীপুর এলাকায় নির্মাণের জন্য দুইটি পক্ষ পৃথকভাবে মানববন্ধন করে।ভবানীপুর মসজিদের পাশের জায়গার মালিক এতে আপত্তি দেন।তাদের পারিবারিক জায়গায় মসজিদ নির্মাণ না করতে তারা সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেন।এরপর থেকে মূলত আটকে গেছে মসজিদ নির্মাণ প্রক্রিয়া।সরকারের সুন্দর জনকল্যাণমূলক একটি উদ্যোগের ফল সারাদেশ ভোগ করলেও কার্যত বঞ্চিত হচ্ছে জুড়ী বাসী।কবে হবে,আদৌ হবে কিনা এ নিয়ে সন্দিহান রয়েছে অনেকের মনে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের (ভারপ্রাপ্ত) সভাপতি মাসুক মিয়া বলেন,
বর্তমান সরকার মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের জন্য প্রত্যেক উপজেলায় একটি করে মসজিদ নির্মাণের যে উদ্যোগ নিয়েছে,সেই প্রকল্পের সুফল থেকে আমাদের জুড়ী বাসী বঞ্চিত হচ্ছে।মডেল মসজিদের কাজ দ্রুত শুরু করা প্রয়োজন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রন্জন চন্দ্র দে জানান,মডেল মসজিদের বিষয়ে সম্ভাব্য স্থান গুলো জেলায় পাঠানো হয়েছে।
জেলা প্রশাসক ড.উর্মি বিনতে সালাম গত রবিবার (৩০ এপ্রিল)জুড়ীতে এক মতবিনিময় সভায় জানান,জুড়ীর মডেল মসজিদের বিষয়টি বিবেচনাধীন রয়েছে।