গাছে গাছে ফুটেছে আমের মুকুল
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:০৩:৩২,অপরাহ্ন ০৩ মার্চ ২০২৩
জুড়ী সংবাদদাতা :: পল্লীকবি জসীম উদ্দিনের ‘মামার বাড়ি’ কবিতার পংক্তিগুলো বাস্তব রূপ পেতে বাকি রয়েছে আর মাত্র কয়েক মাস। গাছে গাছে ফুটছে আমের মুকুল। চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে এই মুকুলের পাগল করা ঘ্রাণ।ফুটতে শুরু করেছে আমের মুকুল।গাছে গাছে ছড়িয়ে এই মুকুলে হবে আম।গ্রাম বাংলার আনাচে কানাচে রয়েছে ছোট বড় অনেক আম গাছ। কিছু বাড়ী ব্যতিত জুড়ীর প্রায় সব বাড়ীতে রয়েছে আম গাছ।এসব গাছে ফুটেছে মুকুল।
মুকুলে ছেয়ে আছে গাছের প্রতিটি ডালপালা।চারদিকে ছড়াচ্ছে সেই মুকুলের সুবাসিত পাগল করা ঘ্রাণ।
তবে এসব মুকুল থেকে আমের ফলন নির্ভর করছে আবহাওয়ার ওপর। আবহাওয়া অনুকূলে না থাকলে অনেক মুকুল টিকে না।
উপজেলার বাহাদুরপুর,ফুলতলা,পূর্বজুড়ী ইউনিয়নের অনেক স্থানে রয়েছে ছোট বড় অনেকগুলো বাগান।
মুকুলে ভরে গেছে এসব বাগানসহ ব্যক্তি উদ্যোগে লাগানো আম গাছগুলোতে। ইতিমধ্যে এসব গাছে মুকুল আসা শুরু হয়েছে।
আতিকুর রহমান নামের আম গাছের এক মালিক জানান, প্রায় ১৫-২০ দিন আগে থেকে তাদের বাড়িতে লাগানো আম গাছে মুকুল আসা শুরু হয়েছে। বেশিরভাগ গাছ মুকুলে ছেয়ে গেছে।বৃষ্টি না হলে অনেক গাছের মুকুল টিকে না।এলাকাবৃত্তিক এসবের মধ্যে বেশির ভাগ দেশীয় প্রজাতির আম গাছ রয়েছে।ব্যবসায়ীরা ফজলি, আম রুপালি সহ বিভিন্ন আম গাছ রোপন করেছেন।এসবে ও মুকুল ধরেছে।
আবার আম বড় হওয়ার ফলে পোকাঁ ধরে।অনেকে কৃষি বিভাগের পরামর্শে এক ধরনের স্প্রে ব্যবহার করেন।বাড়িগুলোতে গাছ কম থাকায় সাধারনত লোকজন স্প্রে ব্যবহার করেন না।বৃষ্টি না থাকার কারনে বেশির ভাগ গাছের গুড়িতে পানি দেন, গোবর দেন,যাতে উর্বর শক্তি বাড়ে।
জুড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন জানান,এ বছর আম গাছে ভালো মুকুল এসেছে।সাধারনত এই সময়ে মাঝে মধ্যে বৃষ্টিপাত হয়।এতে মুকুলের পরিপক্কতা পায়। তিনি আরও জানান,তারা গাছের মালিকদের কে সালফার জাতীয় ছত্রাক নাসক স্প্রে করার পরামর্শ দেন।