পুঠিয়ায় কৃষি জমিতে অবৈধভাবে পুকুর খনন বন্ধে কৃষকদের জোর দাবী
প্রকাশিত হয়েছে : ১০:১৪:১৫,অপরাহ্ন ০৩ মার্চ ২০২৩
নিজস্ব প্রতিবেদক: ফসলি জমির শ্রেনী পরিবর্তন করা যাবে না-সরকারের এমন নির্দেশনা থাকলেও রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার শীলমাড়িয়া ইউনিয়নে বাস্তবায়ন হচ্ছে না সরকারের এমন নির্দেশনা।সরকারে এমন নির্দেশনা উপেক্ষা করেই রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় প্রশাসন কে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে শীলমাড়িয়া ইউনিয়নের সড়গাছী বিলে ২০বিঘা কৃষি জমি ধ্বংস করে অবৈধ ভাবে পুকুর খননের কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে বাগমারা উপজেলার তাহেরপুরের প্রভাবশালী মোঃ আসাদুল। পুঠিয়া উপজেলার শিলমাড়িয়া ইউনিয়ন কৃষি নির্ভরশীল হওয়ার কারণে এই ইউনিয়নের মানুষ কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। এই ইউনিয়নের কৃষকরা তাদের ফসলের জমিতে প্রচুর ধান, পাট, ভুট্টা, পিয়াজ, পেঁপে,গম , আলু ইত্যাদি ফসল উৎপাদন করে থাকেন। তাদের উৎপাদিত ফসল জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের অর্থনীতিকে উন্নয়ন সমৃদ্ধ ঘটাতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে আসছেন। অথচ উপজেলার প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ছত্রছায়ায় সরকারের ভূমি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা উপেক্ষিত করে ৫০ বিঘা কৃষি জমি নষ্ট করে তাহেরপুরের আসাদুল ও রঞ্জু অবৈধ ভাবে পুকুর খনন কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে খোঁজ নিয়ে জানা যায় যে ,বিভিন্ন ফসলের বিস্তৃত মাঠের মাঝখান দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন পুকুর খননের উৎসব। মাঠের অন্যান্য আবাদ নষ্ট করে ফসলের বুক চিরে ট্রাক্টর গুলো পোছাচ্ছে গন্তব্য স্থলে । এরপর ভেকু মেশিন দিয়ে মাটিগুলো তুলে নিয়ে যাচ্ছেন অবৈধভাবে নির্মাণ হওয়া বিভিন্ন ইটের ভাটাতে, ইট তৈরির কাঁচামাল হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে এসকল মাটি। বর্তমান সরকার কৃষি বান্ধব সরকার। সরকারের ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে প্রতিনিয়ত কৃষি জমি রক্ষায় বিভিন্ন প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে আসছেন,যা চলমান থাকা সত্ত্বেও পুঠিয়া উপজেলায় স্থানীয় প্রশাসন সরকারের উক্ত নির্দেশ প্রতিপালনে তৎপর না থাকায় নিয়মিত ভাবে পুকুর খননে ধ্বংস হচ্ছে ব্যাপক আবাদি কৃষি জমি।তাই শীলমাড়িয়া ইউনিয়নের কৃষি জমিতে চলমান সকল পুকুর খনন বন্ধে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য এলাকাবাসীর জোর দাবি।