জুড়ীতে ব্যাপকহারে চুরি বৃদ্ধি
প্রকাশিত হয়েছে : ২:৫১:২১,অপরাহ্ন ০৭ নভেম্বর ২০২২
জুড়ী সংবাদদাতা :: মৌলভীবাজারের জুড়ীতে চুরি থামছে না। আর বিভিন্ন ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখা গেছে এক ব্যক্তিই বার বার চুরি করছেন বলে অনেকের ধারণা।
জানা যায়, শনিবার রাতে উপজেলার সদর জায়ফর নগর ইউনিয়নের কুলাউড়া- বড়লেখা রোডের মানিক সিংহ বাজারের ৪ টি দোকানে চুরি সংঘটিত হয়েছে। দোকানগুলো হলে জিসান ইলেকট্রিক,স্টুডেন্ট লাইব্রেরী ,সাচ্চু ভেরাইটিজ স্টোর,রাজন স্টোর।পাশাপাশি দুটি দোকান,আমির ট্রেডার্স ও
বুদুল ভেরাইটিজ স্টোরের তালা ভাঙ্গার চেষ্ঠা করেছে।তবে তালা ভাঙ্গতে পারেনি। দোকানদার আশরাফ উদ্দিন জানান,তার দোকানের ক্যাশ বাক্সে রাখা টাকা,ভর্তিকৃত একটি প্লাস্টিকের বাক্সে রাখা টাকা ও মোবাইল নিয়ে যায়। অপর দোকানদার
খায়রুল ইসলাম রাজন বলেন, তার দোকানে রাখা টাকা, ফ্লেক্সিলোডের মোবাইল নিয়ে গেছে। আমির উদ্দিন ট্রেডার্সের মালিক জানান, সিসিটিভিতে দেখা যাচ্ছে, ভোর ৪ টা ১০ মিনিটে আমার দোকানের তালা ভাঙ্গার চেষ্ঠা করেছে। তবে উন্নত মানের তালা হওয়ার কারনে ভাঙ্গতে পারেনি।
জানা যায়, ১৭ অক্টোবর সোমবার রাতে জুড়ী ভবানীগঞ্জ বাজারে ৫ টি দোকান ও একটি মসজিদের দান বাক্স চুরি হয়। সিসিক্যামেরায় চোরের চেহারা স্পষ্ট দেখা যায়। এর চার দিন পর ২১ অক্টোবর রাতে উপজেলার পূর্বজুড়ী ইউনিয়নের নয়াবাজারে ৫টি দোকানে চুরি হয়। সেখানের ক্যামেরায়ও একই ব্যক্তিকে চুরি করতে দেখা যায়। প্রায় মাস খানেক হয়ে গেলেও সেই চোরকে সনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। শনিবার রাতে মানিক সিংহ বাজারের একটি দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে ঐ একই চোর সনাক্ত করা
যায়। কিন্তু কয়েকটি চুরির ঘটনায় একই চুরের ফুটেজ পাওয়া গেলেও তাকে ধরতে পারছে না পুলিশ। এর আগে ২০২১ সালের ২১ নভেম্বর জুড়ী জাঙ্গিরাই এ বিদ্যুৎ বিভাগের উপ সহকারী প্রকৌশলী আনসারুল কবির শামীমের বাসা চুরি হয়। পরবর্তীতে তিনি মামলা করলে পুলিশ তদন্ত করে তিনজনকে দায়ী করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। মামলার সার্বিক তদন্তে প্রাপ্ত সাক্ষ্য প্রমাণ এবং মামলার পারিপার্শ্বিকতা অত্র মামলার বাদীর ভাড়া বাসা হতে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকা চুরি হওয়ার সত্যতা পাওয়া গেলেও মামলাটি তদন্তকালে সর্বাত্মকপন্তা অবলম্বন করিয়া ঘটনার সহিত জড়িত আসামিদের সনাক্ত করা সম্ভব না হওয়ায় আসামিদের কে উক্ত মামলা থেকে অব্যাহতি প্রদানের জন্য আদালতে চার্জশিটে আবেদন করা হয়।
উক্ত মামলায় কোন প্রতিকার না পেয়ে অধিকতর তদন্তের স্বার্থে আদালতে নারাজি দিয়েছেন বিদ্যুৎ বিভাগের এই উপ প্রকৌশলী ।জুড়ী থানার ওসি মোশাররফ হোসেন জানান, চুর সনাক্ত করে গ্রেফতার করতে পুলিশ সর্বাত্বক চেষ্ঠা করছে।