পরকীয়ার জেরে স্ত্রীর মিথ্যা মামলা থেকে মুক্তি চান ইউপি চেয়ারম্যান
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:৪২:১৪,অপরাহ্ন ০২ অক্টোবর ২০২২
জুড়ী সংবাদদাতা :: পরকীয়ার কারনে নিজের স্বামীকে যৌতুক মামলা করে ফাসানোর অভিযোগ করছেন শিরিন আক্তার।নিজের স্ত্রীর বিরুদ্ধে এ রকম অভিযোগ করেছেন জুড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ফুলতলা ইউনিয়নের ৫ বারের চেয়ারম্যান মাসুক আহমদ।
শনিবার জুড়ী উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমি ফুলতলা ইউনিয়ন পরিষদের জনগণের ভোটে বারবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান। পাশাপাশি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপজেলা শাখার সাধারন সম্পাদকের দায়িত্বে আছি। এক জন ব্যবসায়ী পরিবার হিসেবে গোটা সিলেট অঞ্চলে আমার পরিবারের সবার পরিচিতি রয়েছে।
বিগত ২০০২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারী কুলাউড়া উপজেলার আমতৈল গ্রামের মোবারক আলীর কন্যা শিরিন আক্তার কে বিয়ে করি। আমাদের একটি কন্যা সমান রয়েছে। তার পিতার আর্থিক অবস্থা নাজুক হওয়াতে বিবাহের পর হতে অদ্যাবধি আমি তার পরিবারের খরচ বহনের টাকা প্রদান করে থাকি, তার বোনদের বিবাহের সব টাকা ও আমি দিয়েছি।তার ভাইকে আমার ইউনিয়নে বাবু পদে চাকুরীর ব্যবস্থা করে দিয়েছি। আমার টাকা দিয়ে তার বাবার বাড়িতে একটি পাকা ঘর নির্মাণ করে দেই এবং তাদের বাড়ীর পাশেই তার আপন চাচার নিকট হইতে শতক জমি করে দেই।
কয়েক বছর আগে আমি জানতে পারি আমার স্ত্রী পরকীয়ায় জড়িত। এ নিয়ে কয়েকবার পারিবারিকভাবে সালিশে সে ক্ষমা চাওয়ায় আমি সংসার করি।
এত কিছুর পরও সে তার অভ্যাস না বদলিয়ে আমার বাসায় বিভিন্ন সময় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে আমাকে সামাজিক ভাবে হেয় করার চেষ্টা চালিয়ে যায়।
গত কিছুদিন আগে সে মার্কেটিং ও যাওয়ার কথা বলে,একজন পুরুষের হাত ধরে পালিয়ে গিয়ে সিলেটে অবস্থান করে। তাকে খোজাখুজি করে না পেলে আমি তার পরিবারকে অবগত করি।পরে জানতে পারি সে,একজন পুরুষের সাথে সিলেটে অবস্থান করছে।
গত ২৪ জানুয়ারি ২০২২ইং সে আমাকে তালাক, প্রদান করে।এরপর থেকে কুলাউড়ায় বাসা ভাড়া নিয়ে জায়ফর নগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মুসলেহ উদ্দিনের ছেলে সুমন আহমদের সাথে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করছে। এর ৫ মাস পর ২১ জুন মৌলভীবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল আদালতে একটি মিথ্যা যৌতুক মামলা দায়ের করে। মামলায় উল্লেখ করে আমি ২০ লক্ষ টাকা দাবী করেছি। অথচ তার সাথে সংসার চলাকালে তার ও তার পরিবারে সবমিলিয়ে আমার প্রায় অর্ধ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। মামলা দায়েরের পর আদালতে আত্মসমর্পণ করিলে আদালত আমাকে জামিন প্রদান করেন।
মাননীয় আদালত সর্বোপরী আমার অবস্থান বিবেচনা করে আইনজীবিদের মাধ্যমে বিষয়টি নিস্পত্তির জন্য মৌখিক ভাবে আহ্বান করিলে সে তাদের কথায় কোন কর্ণপাত করছে না। গত ২৬ সেপ্টেম্বর মামলায় হাজির হওয়ার তারিখ ছিল। আমি এই দিন আদালতে উপস্থিত হতে কিছুটা বিলম্ব হওয়ায় আমার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যু হয়। তবে আমি আদালতে হাজির হলে আদালত আমাকে জামিন প্রদান করেন।একটি কুচক্রী মহলের ইন্ধনে সেই মিথ্যা মামলা থেকে আমি মুক্তি চাই পাশাপাশি ভুল তথ্য দিয়ে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।