বন্দুক যুদ্ধে নিহত সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার,সুশীল সমাজ নিশ্চুপ
প্রকাশিত হয়েছে : ৭:১৭:৩৩,অপরাহ্ন ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২
আবারও বন্দুক যুদ্ধে নিহতের ঘটনা ঘটল, কিন্তু সুশীল শ্রেণি বিদেশি মোড়ল, মানবাধিকার সংগঠন কারও কোনো প্রতিবাদ দেখিনা। বান্দরবানের রুমার দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে জেএসএস সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের গুলিতে সেনাসদস্যসহ নিহত।
গত ২ ফেব্রুয়ারি রাত বান্দরবানে রুমা জোনের একটি টহল দল এর সাথে সন্তু লারমা সমর্থিত জেএসএস মূল দলের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের গুলি বিনিময়ের ঘটনায় সেনাবাহিনীর একজন সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার নিহত এবং একজন সেনাসদস্য গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
জেএসএস সন্ত্রাসীদের একটি দল রুমা উপজেলার বথিপাড়া এলাকায় চাঁদাবাজির জন্য আগমন করবে এমন তথ্যের ভিত্তিতে রাইং খিয়াং লেক আর্মি ক্যাম্প হতে সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হাবিবের নেতৃত্বে একটি টহল দল বথি পাড়ার উদ্দেশ্যে গমন করে। রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টায় টহল দলটি উক্ত এলাকায় পৌঁছালে বথি পাড়ার নিকটস্থ একটি জুম ঘর থেকে সন্ত্রাসীরা অতর্কিত গুলি বর্ষণ করে।
জবাবে সেনাটহল দলের সাহসী পাল্টা হামলায় সন্তু লারমার মদদপুষ্ট জেএসএস মূল দলের তিনজন সশস্ত্র সন্ত্রাসী গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যায়।
এ সময় পলায়নরত সন্ত্রাসীদের এলোপাথারি গুলিতে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে টহল কমান্ডার সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হাবিবুর রহমান ঘটনাস্থলেই শাহাদত বরণ করেন এবং সৈনিক ফিরোজ নামে একজন সেনাসদস্য ডানপায়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। উক্ত আহত সেনাসদস্যকে ৩ ফেব্রুয়ারি সকালে রুমা হতে চট্টগ্রাম সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়।
উক্ত অভিযানে সেনা টহল দল কর্তৃক সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত ১টি এসএমজি, ২৭৫ রাউন্ড তাজা গুলি, ৩টি অ্যামোনিশন ম্যাগাজিন, ৩টি গাদা বন্দুক, গাদা বন্দুকের ৫ রাউন্ড গুলি, ৪ জোড়া ইউনিফর্ম এবং চাঁদাবাজির নগদ ৫২,৯০০.০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রামে তৎপর চারটি আঞ্চলিক দল হত্যা, গুম, চাঁদাবাজি ইত্যাদি দুষ্কৃতিমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনার মাধ্যমে পাহাড়ের নিরীহ সাধারণ মানুষের জনজীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে।
পাশাপাশি সশস্ত্র আন্দোলনের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাংলাদেশ হতে বিচ্ছিন্ন করে স্বাধীন জুম্মল্যান্ড সৃষ্টির পায়তারা করছে, যা নিঃসন্দেহে দেশদ্রোহিতার শামিল। এ পরিস্থিতিতে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী বুকের রক্ত দিয়ে হলেও দেশের স্বাধীনতা ও ভূখণ্ডের অখণ্ডতা রক্ষায় বদ্ধপরিকর।
তবে কথিত বিবেকবানরা কেন এই বীরের মৃত্যুতে কোনো কথা বলে না, হত্যাকারীদের বিচার চায় না, কেন চুপ করে থাকে?
লেখক পরিচিতি :: স্কোয়াড্রন লীডার (অব.) ও সদস্য অর্থ ও পরিকল্পনা উপকমিটি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।