বড়লেখায় অটোরিকশা চালক হত্যার ঘটনায় আদালতে একজনের স্বীকারোক্তি
প্রকাশিত হয়েছে : ৫:২৩:৩৭,অপরাহ্ন ১৮ নভেম্বর ২০১৯
এ ঘটনায় (১৬ নভেম্বর) শনিবার মুজিবুর রহমানের বাবা জুনাব আলী বাদি হয়ে তিনজনকে আসামি করে বড়লেখা থানায় একটি মামলা করেন। মামলার আসামিরা হলেন, উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের চুয়ারকান্দি গ্রামের মৃত হারিছ আলীর ছেলে সাহাব উদ্দিন (৩৫) ও তাঁর প্রতিবেশী মকবুল আলীর ছেলে নজরুল ইসলাম (২৮) এবং ভাই ইসলাম উদ্দিনের স্ত্রী সুমা বেগম (২১)। মামলার পরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে নজরুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে।
মামলার এজাহার ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের চুয়ারকান্দি গ্রামের সাহাব উদ্দিনের সঙ্গে অটোরিকশা চালক মুজিবুর রহমানের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলছিল। গত বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) রাত ১০টার দিকে চুয়ারকান্দি গ্রামে খালাতো বোন রুশনা বেগমের বাড়িতে বেড়াতে যান মুজিবুর। সেখানে রাতের খাবার খেয়ে রাত ১২টার দিকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন মুজিবুর। কিন্তু বাড়িতে আর ফেরেননি।
রাত তিনটার দিকে মুজিবুর রহমানের বাবা জুনাব আলীকে ফোন করে তাদের ওয়ার্ডের মেম্বার কবির আহমদ জানান তাঁর ছেলে মুজিবুরকে চুয়ারকান্দি গ্রামের নজরুল ইসলামের বাড়িতে আটকে রাখা হয়েছে। খবর পেয়ে জুনাব আলী সেখানে গিয়ে দেখেন তাঁর ছেলে মুজিবুর সাহাব উদ্দিনের ভাইয়ের স্ত্রী সুমা বেগমের বসতঘরে মুমূর্ষু অবস্থায় পড়ে আছে। এ সময় তিনি মুজিবুরের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ও নাক দিয়ে রক্ত বের হতে দেখেন।
সেখান থেকে গুরুতর অবস্থায় মুজিবুরকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরদিন শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সকাল ৮টায় হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক মুজিবুরকে মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে। পরে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
মামলার তদন্তকারী শাহবাজপুর তদন্ত কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন (পুলিশ পরিদর্শক) গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে রোববার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে বলেন, ‘নজরুল ইসলাম আদালতে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’