বড়লেখায় স্বামীকে বাঁচাতে নিজের কিডনি দিয়ে ভালোবাসার বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন স্ত্রী
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:১০:৩২,অপরাহ্ন ২১ অক্টোবর ২০১৯
হোসনা বেগমের স্বামী আমিরাত প্রবাসী নুরুল ইসলামের (৪৫) দুটি কিডনি বিকল হয়ে যায়। বাঁচতে হলে তার অন্ততপক্ষে একটি কিডনির প্রয়োজন। জীবন মৃত্যুর এমন সন্ধিক্ষণে পাশে এসে দাঁড়ালেন তারই প্রিয়তমা স্ত্রী হোসনা বেগম। নিজের একটি কিডনি দিয়ে স্বামীর জীবন বাঁচাতে রাজি হলেন দুই সন্তানের জননী হোসনা বেগম ।নিজের জীবন ঝুঁকির চিন্তা না করে স্বামীকে কিডনি উপহার দিতে পাড়ি দেন আমিরাতে।
হোসনা বেগম ও নুরুল ইসলাম দম্পতির পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, প্রায় পঁচিশ বছর আগে নুরুল ইসলামের সাথে একই গ্রামের হোসনা বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর নুরুল পাড়ি জমান মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে। জীবিকার তাগিদে তিনি দীর্ঘদিন ধরে সেখানে অবস্থান করছেন।
সেখানে অবস্থান কালে তিনি কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন। পরে বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে জানা যায় তার দুইটি কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে। চিকিৎসকরা জানান বাঁচতে হলে তার একটি কিডনির প্রয়োজন।যত দ্রুত সম্ভব তাকে একটি কিডনি প্রতিস্থাপন করতে হবে।ডাক্তারের সেই কথা শুনে চোখে অন্ধকার দেখেন নুরুল ইসলাম। বিষয়টি জানতে পারেন তার স্ত্রী।আর তিনি স্বামীর জীবন বাঁচাতে একটি কিডনি দিতে রাজি হন।
সম্প্রতি তিনি কিডনি দিতে দুটি সন্তান রেখে দুবাইতে যান। অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষার পর চিকিৎসকরা জানান হোসনা বেগমের কিডনী তার স্বামীর দেহে প্রতিস্থাপন করা সম্ভব । অবশেষে গত ১৬ অক্টোবর শেখ খলিফা হাসপাতালে একদল বিশেষজ্ঞ সার্জন কিডনী প্রতিস্থাপন সম্পন্ন করেন।
এ বিষয়ে হোসনা বেগমের ভাই আলী আহমদ বড়লেখার ডাক’কে বলেন ‘আল্লাহর অশেষ কৃপায় গত ১৬ অক্টোবর কিডনি প্রতিস্থাপন সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে আপা এবং দুলাভাই দুজনই সুস্থ আছেন। আপাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দিয়েছে তবে দুলাভাই ডাক্তারদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।’